চাঁদপুরে
পরীক্ষামূলক ভুট্টা চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। চাঁদপুর
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কোহিনূর জাতের ভুট্টা বীজ বিতরণ করেন
কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ভুট্টা চাষে কৃষকের সাফল্য
এসেছে। এদের দেখাদেখি অন্যান্য কৃষক ভুট্টা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিস থেকে প্রায় ৭শ' কৃষাণ-কৃষাণীকে
ভুট্টা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এ বীজ ও সার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায়
কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ বছর চাঁদপুর সদরের বেশ ক'টি ইউনিয়নে গম
চাষের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ হয়েছে বেশি। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর, আশিকাটি,
কল্যাণপুর, শাহমাহমুদপুর, মৈশাদী, তরপুরচন্ডী ও বাগাদীতে বেশি হয়েছে।
তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের কৃষক ইমাম গাজী ৫০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে
ভুট্টা চাষ করে সফল হয়েছেন। এবারই প্রথম ৫০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক
কোহিনূর জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও কৃষি অফিসের
সহযোগিতায় এ চাষে আমার ব্যয় হয় মাত্র ৮ হাজার টাকা। কারণ ক্ষেতে সেচ দিতে
হয়নি। ৫০ শতাংশ জমিতে ১ মেট্রিক টন ভুট্টা ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে
ভুট্টা প্রতি কেজি ১৮ টাকা দরে ১ মেঃ টন ভুট্টার দাম ১৮ হাজার টাকা। ৮
হাজার টাকা খরচ বাদ দিয়ে নীট লাভ থাকবে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শাহ আলম বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলায়
ভুট্টা চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কৃষকদের আলুর জমিতে ভুট্টা চাষ করতে আমরা
পরামর্শ দেই। সে সুবাদে কৃষকরা স্বল্প খরচে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হন। এতে
তাদের উৎপাদন খরচ কম হয় এবং লাভবান হয়। ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এই
এলাকার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
তিনি আরো জানান, বর্ষাকালে এ সময়ে খুব একটা কাজ না থাকার কারণে বেকার কৃষি শ্রমিকরাও আর্থিক সংকটে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হলে কোনো জমি আর পড়ে থাকবে না।
আজকের প্রশ্নবাম দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগের বিকল্প একটি রাজনৈতিক ধারা তৈরি করতে পারে। আপনিও কি তাই মনে করেন?| হ্যাঁ | না | মতামত নেই |
উত্তর সমূহ